রাজকুমার দাস : সম্প্রতি শিশির মঞ্চে রবিকিরণের আয়োজনে ‘এসো প্রাণের উৎসব’ শীর্ষক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানে পাঁচজন সুশিক্ষিত রবীন্দ্র সংগীত শিল্পীর গাওয়া বেশ কিছু স্বল্পশ্রুত গান আয়োজিত হল। অনুষ্ঠানের বাড়তি পাওনা ছিল কবি সুবোধ সরকারের কণ্ঠে স্বরচিত কবিতা পাঠ। তিনি তার সাম্প্রতিক কবিতা ও পুরাতন জনপ্রিয় রচনার অংশ পাঠ করেন।
রবিকিরণের শিল্পীদের সুমন পান্থী ও দেবশ্রী বিশ্বাসের পরিচালনায় সুচর্চিত ও সুমিলিত সম্মেলক গান মনে দাগ কেটে দেয়। এছাড়া সম্মেলক গান পরিবেশন করেন ক্রিয়েশন ও মুক্তধারা।
সুকৃতি মজুমদারের দৃপ্ত কণ্ঠে ভুবনজোড়া আসনখানি, আমি কান পেতে রই প্রশংসণীয়।
এরপর দেবশ্রী বিশ্বাস চর্চিত কণ্ঠে শ্রোতাদর্শক রা আবিষ্ট হন যে তোরে পাগল বলে, ভয় হতে তব অভয়মাঝে, বর্ষ ওই গেল চলে নিবেদনের মধ্য দিয়ে।
সুমন পান্থীর মন্দ্রমধুর কণ্ঠ লাবণ্যে শ্রোতারা মেতে ওঠেন হে মোর দেবতা, অনন্তের বাণী তুমি, চরণধ্বনি শুনি তব নাথ মধ্য দিয়ে।
ভাস্বতী দত্ত র সতেজ কণ্ঠের সুরগাম্ভীর্যে দ্যুতিময় হয়ে ওঠে অন্তর মম বিকশিত কর, মম অংগনে স্বামী, আমার সকল দুখের প্রদীপ।
দস্তুর মতো গাইলেন কৃষ্ণেন্দু দে। তবলায় স্বপন অধিকারী ও এসরাজে নন্দন দাশগুপ্তের যথাযথ সহযোগে কৃষ্ণেন্দুর নিবেদনে বিপুল তরঙ্গ রে,, এমনি করেই যায় যদি দিন, দেখা না দেখায় বাড়ী ফেরত শ্রোতাদের মনে সুরময় রেশ রেখে যায়।
সুধীরঞ্জন মজুমদারের মঞ্চ অলংকরণ আলপনার নকশার এক নয়নাভিরাম মনোহরণ দৃশ্যপট স্থাপন করল। সঞ্চালনায় সুদীপ্তা কবিকথার নানা স্মৃতিচারণে একসূত্রে স্মৃতিমেদুর করে তোলেন এই আসরকে। সুগ্রথিত টানটান উপস্থাপন আসরকে উন্নীত করে এক নতুন আশার আলোয়।