দুর্যোগে ও ঝড়ে, বিপদের মুখে অগ্রনী


নিজস্ব প্রতিবেদন : বুকে দুর্জয় সাহস, মনে দৃঢ়কল্প, মাথায় প্রত্যেকটা পদে হিসাব কষা। একচুল এধার ওধার হলে সব শেষ। মৃত্যু সততই বিষাদময়। আবার নিজের সব চাইতে বেশী প্রিয় কাজটা করতে করতে মারা যাবার মধ্যে এক গৌরবও আছে।

হয়তো, কুন্তল, দীপঙ্কর, বিপ্লব বা তারও আগের ছন্দা গায়েন প্রমান করে দিয়ে গেছেন। পদে পদে বিপদ আছে জেনেও কীসের এক অমোঘ টানে সেই বিপদের দিকেই ধেয়ে যাওয়া। সাধারণ, সুখী মানুষদের মতো বাঁচাটা হয়তো এদের কাছে লজ্জার। তাই এত বিপদ অগ্রাহ্য করে প্রত্যয়ী হয়ে এগিয়ে যাওয়া। মৃত্যুও এদের সামনে পদানত, পরাজিত।

হাই অলটিটিউড সিকনেস, যেমন- মাথা ব্যাথা, অবসাদ, বমি ভাব, দম কমে আসা, হাত পায়ের কো-অর্ডিনেশন নষ্ট হয়ে যাওয়া, জ্ঞান হারানো এই সবকিছু পেরিয়ে আসার পর তবেই মৃত্যু। এতকিছুর মুখোমুখি হবার পরও তাদের মনে হয় না,, তাদের ফিরতে হবে। তা নাহলে মৃত্যুর কাছে তাদের হারতে হবেই। কিন্তু ওই যে বললাম, নিজের সব চাইতে প্রিয় কাজের মধ্যে মৃত্যুটাই কারোর কারোর কাছে গৌরবের, সম্মানের।

এতদিন ধরে এঁরাই যখন শৃঙ্গ জয় করে ফিরতেন এঁদের পরিজনদের কাছে এহেন ফেরাটাই ছিল আনন্দের, উদ্বেলিত হবার মতো। তবে এবারকার ফেরার মধ্যে যে নেই কোন ফেরা। কারন এরা তাদের সর্বস্ব পাহাড়ের কাছে অর্পন করে একপ্রকার নিঃস্ব হয়েই ফিরেছেন।

কুন্তল কাঁড়ারের মৃতদেহ এতদিন পিস হেভেনে রাখার পর এই নশ্বর শরীরটুকুকে সম্মানের সাথে পঞ্চভূতে মিলিয়ে দিতেই হাজারো মানুষের ঢ্ল। যা চোখের জলের সাথেই শ্মশান ঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। প্রকৃতিপ্রেমী এহেন মানুষের নশ্বর শরীরটুকুও সেই পঞ্চভূতে, প্রকৃতিতেই মিলিয়ে যাক। এটাই এদের কাছে গৌরবের, সম্মানের।।।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।

2 + eighteen =