সিরিয়ান সেনার জঙ্গি নিধনকে কেন্দ্র করে চাপানউতোর


নিজস্ব প্রতিবেদন : পাঁচ বছরের লড়াই শেষে বড়সড় সাফল্য। অবশেষে সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট বা আইসিস জঙ্গিগোষ্ঠীর শেষ ঘাঁটির দখল নিল সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ)। সিরিয়ার একাধিক শহরের দখল নিজেদের হাতে রেখেছিল আইসিস জঙ্গি সংগঠন। কিন্তু এবার তাদের সাম্রাজ্যের পতন হল বলে দাবি করেছে এসডিএফ। সিরিয়ার বাঘুজে আইসিসের সর্বশেষ ঘাঁটিতে বিজয় নিশান উড়িয়েছে এসডিএফ। একইসঙ্গে তাঁরা দাবি করেছে, সিরিয়ায় অবশেষে আইসিসের তথাকথিত খিলাফত-এর পতন হয়েছে। 

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের একাংশ অবশ্য এই দাবি মানছে না। বিবিসি যেমন বলছে, সর্বশেষ ঘাঁটি ধ্বংস হলেও আইসিস সিরিয়া থেকে মুছে যায়নি। কারণ, সিরিয়ার একাধিক শহরে এখনও কয়েক হাজার আইসিস জঙ্গি গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। লুকিয়ে চুরিয়ে কাজ করছে আইসিস-এর স্লিপার সেল। বিবিসির আরও দাবি, সিরিয়া ও ইরাকের পরিধি ছাড়িয়ে নাইজেরিয়া ও ফিলিপিন্সে সাম্রাজ্য ছড়িয়েছে আইসিস। সিরিয়ায় পুনরায় দখলদারি পেতে তারা সেখান থেকেও অপারেট করতে পারে। 

খিলাফত-এর তরফ থেকেও এ খবরের সত্যতা স্বীকার করে নি। তারা কিছুতেই এই পতনের কথা মেনে নিচ্ছে না।তাদের মুখপাত্র আবু হাসান আল মুহাজির অডিও রেকর্ডে জানিয়েছে, আইসিস-এর খিলাফত এত সহজে মুছে ফেলা সম্ভব নয়। খুব তাড়াতাড়ি আবার তারা নিজেদের সংগঠন গুছিয়ে মাঠে নামবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে মুহাজির। এদিকে, এসডিএফ-এর এত বড় সাফল্যকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে তাদের লড়াই জারি থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

আমেরিকা দীর্ঘদিন ধরেই সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেসকে সমর্থন জুগিয়ে আসছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে বাঘুজে আইসিসের শেষ ঘাঁটি ধ্বংস করতে অভিযান শুরু করে এসডিএফ। সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলের এই ঘাঁটি সম্পর্কে দীর্ঘদিন ধরে এসডিএফ-এর কাছে খবর ছিল। তবে সেই অঞ্চলে প্রচুর সাধারণ নাগরিক থাকায় বুঝে শুনেই অভিযান চালাতে হয়েছে সেনাবাহিনীকে। এসডিএফের অভিযানের খবর পেয়ে প্রচুর সংখ্যক আইসিস জঙ্গি বাঘুজ ছেড়ে পালিয়েছিল। তবে এসডিএফ দাবি করছে, বাঘুজে বহু জঙ্গি তাদের হাতে মারা পড়েছে। যাদের মধ্যে আত্মঘাতী জঙ্গিও রয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সাল থেকে সিরিয়ায় নিজেদের ‘খিলাফত’ ঘোষণা করেছিল আইসিস। 


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।

two + 20 =