৪২ এ ১৮, এখন লক্ষ্য বিধানসভা ভোট


নিজস্ব প্রতিবেদন : গোটা দেশে ঝড়। তবে বাংলার কথা আলাদা করে উল্লেখ করলেন অমিত শাহ। দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে অমিতের মুখে শুধুমাত্র বাংলার কথাই এল। সর্বভারতীয় সভাপতি যা বললেন, তার মানে দাঁড়াল, আগামী দিনে বাংলার ক্ষমতায় আসতে চলেছে বিজেপি।

বাংলায় ২৩টি আসন জেতার টার্গেট করেছিল বিজেপি। তখন মনে হচ্ছিল, একপ্রকার অসম্ভব। কিন্তু ফলপ্রকাশের পর দেখা গেল, ১৮টি আসন ঝুলিতে পুরে ফেলেছে বিজেপি। বাংলায় বিজেপির এমন সাফল্য বছর পাঁচেক আগেও ছিল ভাবনার অতীত। আর দেশে তো কার্যত মোদী সুনামি।

এদিন দিল্লিতে সদর দফতরে দলীয় কর্মীদের মুখোমুখি হন নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ। নরেন্দ্র মোদীকে জয়ের মহানায়ক আখ্যা দেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। আর এর মধ্যেই আলাদা করে বাংলার নাম এল অমিতের মুখে। বলেন, ‘এত অত্যাচারের পরও ১৮টি আসন পেয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি’। খানিকক্ষণ চুপ করে থেকে ‘ভারত মাতা কি জয়’ ধ্বনি দেন অমিত। এরপরই মোদীর সেনাপতির হুঙ্কার, ফল বলে দিচ্ছে, আগামী দিনে গোটা বাংলায় রাজ করবে ভারতীয় জনতা পার্টি।

কলকাতায় বিজেপির রাজ্য দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে মুকুল রায় বলেন, ”এটা গণতন্ত্র বাঁচানোর লড়াই। অধিকাংশ মানুষের সমর্থন হারানোর পর বাংলায় ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার নেই তৃণমূলের। বাংলায় গণতন্ত্র ফেরাতে লড়াই করেছেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ। বাংলায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই। সাংসদরা যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির কথা বলবেন দিল্লিতে। বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতির কথা বলবেন। বাংলার কৃষ্টি-সংস্কৃতি ফেরতের কথা বলবেন। আমরা গুরুদায়িত্ব পালনের চেষ্টা করব”।

একইসঙ্গে মুকুল রায় দাবি করেন, বাংলায় ১৮টি আসন জিতেছে বিজেপি। এখনই প্রায় ১৫০টি বিধানসভা কেন্দ্রে পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিধানসভার ভবিষ্যত্ ঠিক করে দেবেন বাংলার মানুষ।।।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।

13 + eight =