বিয়ের নামে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা, গ্রেপ্তার বায়ুসেনা কর্মীর মা, পলাতক ‘পাত্র’


নিজস্ব প্রতিবেদন: বিয়ের ফাঁদ পেতে দশ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল বায়ুসেনার কর্মী ও তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তের নাম চন্দন সিং। তিনি বায়ুসেনার গাড়িচালক হিসেবে কাজ করেন। পাত্রীর বাবা থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর থেকেই পলাতক চন্দন। প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁর মা সীমাদেবীকে।

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ কলকাতার  চারু মার্কেটের বাসিন্দা রামদেও সিং। মেয়ের বিয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিচ্ছিলেন তিনি। একাধিক জায়গায় যোগাযোগও করেন। খবর পেয়েই পাত্র সেজে হাজির হন বায়ুসেনার কর্মী চন্দন সিং। মা সীমাদেবীকে তিনি পাত্রী দেখতে যান। পাত্রীকে পছন্দও করেন। ঘটনার সূত্রপাত হয় তারপর।
অভিযোগ, পাত্রীর বাবাকে চন্দন সিং জানান, মেয়ে তাঁদের পছন্দ। তবে বিয়ে করতে গেলে বাজার ও গয়না-সহ অন্যান্য খরচের জন্য টাকার প্রয়োজন। তাঁদের কাছে সেই টাকা নেই। তাই পাত্রীর বাবার কাছ থেকে আগাম দশ লক্ষ টাকা চেয়ে নেন বায়ুসেনার কর্মী ও তাঁর মা। এর কিছুদিন পর থেকে বিয়ের কথা তুলতেই চন্দন জানান, তিনি ছুটি পাচ্ছেন না। কয়েকবার ফোন করার পরই মোবাইল বন্ধ করে সিমকার্ড পালটে ফেলেন।

গত জুলাই মাসে পাত্রীর বাবা রামদেও সিং চারু মার্কেট থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। থানার ওসি সুভাষ অধিকারীর নির্দেশে পুলিশের একটি টিম গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে প্রথমে চন্দনের কর্মস্থল অসমে যায়। কিন্তু সেখান থেকে সে ছুটি নিয়ে বিহারে পালিয়েছে বলে জানা যায়। বিহারে গিয়ে তল্লাশি চালিয়ে চন্দনের মাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ওই মহিলাকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়।

জেরার মুখে সীমাদেবী পুলিশকে জানান যে, এই একই পদ্ধতিতেই এর আগে তিনি ও ছেলে মিলে আরও দু’জন পাত্রীর বাবার কাছ থেকে টাকা আদায় করেছিলেন। সেই সময় বেঁচে গিয়েছিলেন। কিন্তু কলকাতা পুলিশের ফাঁদে পড়ে গেলেন।  এখনও মূল অভিযুক্ত চন্দন সেন পলাতক। তার সন্ধানে তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সংগৃহীত


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।

19 − 17 =