কচি পাঁঠার ঝোল থেকে খিচুড়ি, এক ফোনেই বাড়িতে খাবার পৌঁছবে সরকার! একদম সস্তায়


 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদন : আজ, ষষ্ঠী থেকে দশমী অবধি ঘরে বসেই মিলবে সুস্বাদু খাবার। সৌজন্যে রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর। টানা পাঁচ দিন রকমারি সব খাবার ঘরে ঘরে পৌছে দেবে পঞ্চায়েত দফতরের অধীনস্থ ডব্লিউবিসিএডিসি। মহালয়ার দিনেও হোম ডেলিভারির আয়োজন করেছিল এলাকা উন্নয়ন নিগম। রথের সময়েও ছিল বিশেষ আয়োজন। এবার পুজোতেও তা বজায় থাকবে।

কীভাবে মিলবে ঘরে বসে এই খাবার? ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপ মারফত এই খাবার বুকিং করা যাবে। যদি দুপুরের খাবার চান তাহলে আগের দিন রাত ৯’টার মধ্যে বুকিং করতে হবে। আর যদি ডিনার চান তাহলে সকাল ১০’টার মধ্যে অর্ডার দিতে হবে। যে সব নম্বরে ফোন করা যাবে ও হোয়াটসঅ্যাপ করে অর্ডার দেওয়া যাবে তা হল– ৯১৬৩৩২৩৫৫৬, ৯১৬৩৩১২৮০৮, ৮১৭০৮৮৭৯৪১ ও ৬২৯০২২৫৮৫৯ নম্বরে। তবে হোম ডেলিভারির পাশাপাশি খাবার পাওয়া যাবে প্যান্ডেল থেকেও।

শহর কলকাতার নামী ৭ প্যান্ডেলে খাবার পাওয়া যাবে রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরের।পুজোর মেনুতে কি কি থাকছে? আজ ষষ্ঠীর দিন দুপুরে থাকছে রাধাবল্লভী, আলুর দম, বাসন্তী পোলাও, মাছের পাতুরি, চিকেন কষা, চাটনি এবং মিষ্টি পান। আজকের জন্যে দাম ধার্য করা হয়েছে ৪০০টাকা। আগামী কাল অর্থাত্‍ সপ্তমীতে মেনুতে থাকছে সরুচালের ভাত, মাছের মাথা দিয়ে মুগের ডাল, ফিশ বাটার ফ্রাই, দই কাতলা, সরষে ইলিশ, চাটনি এবং মিষ্টি পান। এর জন্যে দাম নির্ধারিত করা হয়েছে ৪২৫ টাকা। অষ্টমীর মেনুতে কিছু বদল আনা হয়েছে। সেখানে থাকছে খিচুড়ি, লাবড়া, বেগুনি, চাটনি, পাঁপড়, পায়েস এবং মিষ্টি পান। দাম পড়বে প্লেট পিছু ২৫০ টাকা করে।

এবার আসা যাক নবমীর মেনুতে। সেখানে থাকছে সরু চালের ভাত, মাছের মাথা দিয়ে মুগের ডাল, ফিশ ফ্রাই, কচি পাঁঠার ঝোল, চাটনি, মিষ্টি দই, মিষ্টি এবং পান। দাম পড়বে প্লেট পিছু ৪২৫ টাকা করে। দশমীর মেনুতে থাকছে সাদা পোলাও ও নবরত্ন কোর্মা। এছাড়া বিজয়ার মেনুতে নানা রকমের মিষ্টি রাখা হচ্ছে। যার মধ্যে আছে শক্তিগড়ের ল্যাংচা, রানাঘাটের পান্তুয়া, বাংলার রসগোল্লা সবই এক পিস করে। বর্ধমানের সীতাভোগ ও মিহিদানা ১০০ গ্রাম করে। সব মিলিয়ে দাম পড়বে ৩৭৫ টাকা।আর যারা আজ থেকে দশমী অবধি ডিনার করতে চান তাদের মেনু হল চিকেন বিরিয়ানি, চিকেন চাপ ও রায়তা। খরচ মাত্র ৩৫০ টাকা। করোনার কারণে বহু মানুষ বিশেষ করে বয়স্করা এড়িয়ে যাচ্ছেন হোটেলে বা রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া। অনেকের আবার অসুস্থতা জনিত কারণেও বাইরে যাওয়া সম্ভব নয়। তাদের জন্যেই পুজোতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর আগে মহালয়া ও রথ যাত্রার দিনেও স্পেশাল মেনুর আয়োজন ছিল।

ছবি ও তথ্য সংগৃহীত


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।

1 × 3 =