ট্রেনের মহিলা কামরায় চড়ছে পুরুষ যাত্রী, গ্রেফতার ৫৮ জন


নিজস্ব প্রতিবেদন: মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে চরম উদ্বিগ্ন রেল। বেশ কয়েকটি ঘটনার পর রেলবোর্ডের নির্দেশে রীতিমতো নড়ে বসেছে জোনাল রেলগুলি। মহিলাদের জন্য বিশেষ ট্রেন ও নির্ধারিত কামরাগুলিতে পুরুষ যাত্রী চড়লেই আর রেহাই দেওয়া হচ্ছে না। তাদের রেল আইনে গ্রেফতার করা হচ্ছে। মঙ্গলবার মাতৃভূমি লোকালগুলিতে হানা দিয়ে হাওড়ায় ২৮ জন ও শিয়ালদহে ৩০ জন পুরুষ যাত্রীকে গ্রেফতার করেছে আরপিএফ। শীতকালের রাতের ট্রেনে অপরাধ বাড়ার প্রবণতা দেখা যায়। বিশেষত মহিলা কামরায় নানা ধরনের অপরাধের ঘটনার কথা সামনে এসেছে বহুবার। তাই অপরাধ আটকাতে নিরাপত্তার উপর জোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রেলের পক্ষ থেকে।

সম্প্রতি মেদিনীপুর লোকালে মহিলা কামরায় উঠে এক যুবকের হস্তমৈথুনের ঘটনা যেমন নাড়িয়ে দিয়েছে মহিলা যাত্রীর নিরাপত্তার ভিতকে। আবার গৌড় এক্সপ্রেসে এক মহিলা যাত্রীকে ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার মতো ঘটনা মহিলাদের ট্রেনে নিরাপত্তাহীনতাকে উসকে দিয়েছে আরও বেশি করে। ভারতীয় রেলের আইনে ১৫২ ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে ওই যাত্রীদের। যে আইনে আদালতে গিয়ে ধৃতকে জামিন নিতে হবে।

হাওড়ার ডিআরএম মনীষ জৈন বলেন, বিভিন্ন সময় মহিলা যাত্রীদের উপর নানা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। অভিযোগ এলে ধরপাকড় শুরু করতে বাধ্য হয় রেল। এবার তেমনই তল্লাশি শুরু হয়েছে। সম্প্রতি নলহাটিতে এক মহিলাকে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেয় দুষ্কতী। এরপরই গৌড়, বনাঞ্চল, পদাতিক এক্সপ্রেসে তল্লাশি শুরু করে আরপিএফ।

শনিবারই বনাঞ্চল এক্সপ্রেসে দুষ্কৃতী চড়ার পরই আরপিএফ একজনকে ধরে ফেলে। বাকিরা পালিয়ে যায়। আরপিএফ সূত্রে খবর, বিহারের সাহেবগঞ্জ এলাকার দুষ্কৃতীরাই এই সব ট্রেনে দৌরাত্ম্য চালাচ্ছে। বিশেষত মহিলাদের উপর। তাই এই ধরনের তল্লাশি চলবে শীতকাল জুড়ে। এই মরশুমে লাইনে ফাটলেও বিপত্তি ঘটে থাকে। যে বিপত্তি রূপ নিতে পারে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনাতেও। তবে এই ধরণের ফাটল দেখতে নিয়মিত রাতে পেট্রোলিংএ থাকে কিম্যান ও পেট্রোলম্যান। পূর্ব রেল জানিয়েছে, শিয়ালদহে ২১২ জন কিম্যান ও ২০১ জন পেট্রোলম্যান আছেন। যাদের উপর জিপিএস ট্রাকিং সিস্টেম দিয়ে নজরও রাখা হচ্ছে। প্রয়োজন হলেই তাদের নির্দেশ দেওয়া ও তাদের প্রয়োজনে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে রেল।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।

one × one =