নিজস্ব প্রতিবেদক : ৭৪৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় ষষ্ঠ দফার ভোটগ্রহন চললো। কিন্তু তাতেও সংঘর্ষ এড়ানো গেল না।
ভোটের দিন সাতসকালেই কেশপুরের একটি বুথে বিজেপি এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না শুনে সেখানে ভারতী ঘোষ গেলে তার সঙ্গে তৃণমূলের মহিলা কর্মীদের ধ্বস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। যাতে ভারতী এবং তার গাড়ির চালক চোট পেয়েছে বলে খবর।
কেশপুরে আরও একটি বুথে ৪রাউন্ড গুলি চলার খবর পাওয়া যায়। যেখানে বখতিয়ার খান নামে ১জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।
এরপর, দাঁতনে অশান্তির খবর পেয়ে দিলীপ ঘোষ সেখানে পৌঁছালে তিনি বিক্ষোভের মুখে পড়েন। সূত্রের খবর, গো ব্যাক স্লোগান তুলে তাকে সেখান থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়।
এছাড়া এই ষষ্ঠ দফার ভোটে ঝাড়্গ্রামও বেশ উত্তপ্ত বলে জানা গিয়েছে। সেখানকার একটি বুথে রমন সিং নামে বিজেপি’র এক বুথ এজেন্টকে গুলিবিদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে। আরও জানা গেছে, বাড়ি ঢুকে তাকে গুলি করা হয়। উল্লেখ্য, হাসপাতালে নিয়ে যাবার পথেই তিনি মারা যান বলে খবর।
ভগবানপুরেও একই অবস্থা বলে জানা গিয়েছে। সেখানেও বিজেপি’র দুই কর্মীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ তৃণমূলের দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে, কলকাতায় বারবার মুকুল রায়ের গাড়িতে তল্লাশি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। কেন বা কী কারনে এই তল্লাশি তার কোন কিছুই জানা যায় নি। তবে, মুকুল রায় অভিযোগ করেছেন, নোংরা রাজনৈতিক অভিসন্ধিতেই তাকে এমন হয়রানি করা হচ্ছে।
তবে, তৃণমূল নেতৃত্ব যথারীতি এসমস্ত কিছুই অস্বীকার করেছে। এবং এটা স্রেফ বিজেপি’র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলেই তারা এড়িয়ে গিয়েছে।